পূর্ণ নাম: জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর, বিয়ানীবাজার, সিলেট।
অবস্থান: বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর গ্রামে- কুশিয়ারা নদীর দক্ষিণতীর ঘেঁষে জামিয়ার অবস্থান।
অবকাঠামো: জামিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ভবন পৃথক দুটি বিশাল এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। কুশিয়ারার দক্ষিণতীর ঘেষে প্রায় এক একর জমি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একাডেমিক ভবন। শিক্ষা বিভাগীয় সকল কার্যক্রম এখানেই পরিচালিত হয়। আধ-মাইল দক্ষিণে আড়াই একর জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত জামিয়ার বিশাল ছাত্রাবাস। আবাসিক ছাত্ররা এখানে অবস্থান করে।
মাদরাসার জায়গাদাতা: পুরাতন ভবনের জায়গাদাতা হলেন আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর গ্রামের মরহুম হাজি আব্দুল ক্বাদীর কটু মিয়া। নতুন ভবনের জায়গাদাতা হলেন- যথাক্রমে:-
আলহাজ্জ শফিক উদ্দিন, আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর।
আলহাজ আব্দুল খালিক কুটু মিয়া সাহেবের পরিবারবর্গ, গোবিন্দশ্রী।
আলহাজ্জ মুঈনুদ্দীন গং, আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর (উত্তর-পূর্বপার)।
আলহাজ্জ অজিহ উদ্দিন গং, আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর।
বিভাগীয় প্রধানগণ
মুহতামিম: মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন দা. বা.
নাজিম: মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন দা.বা.
শায়খুল হাদীস: মাওলানা মুফতি মুজিবুর রহমান দা.বা.
প্রধান মুফতি ও ইফতা বিভাগীয় প্রধান: শায়খুল হাদীস মুফতি মুজিবুর রহমান দা.বা.
নাজিমে দারুল ইকামা: মাওলানা আব্দুল হাফিজ শমশেরনগরী দা.বা.
বিস্তারিত পড়ুন
শিক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম এই বিভাগের অধীনে পরিচালিত হয়। ছাত্র ভর্তি থেকে শুরু করে নেসাব প্রণয়ন, রুটিন তৈরি, ছাত্রহাজিরা, পরীক্ষার ইন্তেজাম, ফলাফল প্রকাশ- এসবই শিক্ষা বিভাগ থেকে করা হয়। বিভাগীয় প্রধানকে নাযিমে তালীমাত বা শিক্ষাসচিব বলা হয়। নিয়মিত বিভাগসমূহের পাশপাশি রয়েছে কয়েকটি সহযোগী বিভাগ। জামিয়ার চিন্তা-চেতনার সফল বাস্তবায়ন এবং নিয়মিত বিভাগসমূহকে সহযোগিতা করাই হচ্ছে এসব বিভাগের কাজ। নিম্নে এগুলোর ফিরিস্তি তুলে ধরা হলো।
বোর্ডিং বিভাগ
কুতুবখানা বিভাগ
ফতোয়া বিভাগ
প্রকাশনা বিভাগ
কম্পিউটার প্রশিক্ষণ বিভাগ
তাদরীবুল আরাবী
সাহিত্য প্রশিক্ষণ বিভাগ
আল-মুহাযারাতুল ইলমিয়্যাহ
বক্তৃতা প্রশিক্ষণ বিভাগ
- আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন।
- সাহাবায়ে কিরাম, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, আকাবিরে ইসলাম এবং সালাফের দেখিয়ে দেয়া পন্থায় কুরআন-হাদীসের সঠিক শিক্ষা দান।
- একদল যোগ্য ওয়ারাসাতে আম্বিয়া তৈরী।
- পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্রদেরকে বক্তৃতা, লিখনীসহ যুগচাহিদার উপযোগী করে গড়ে তোলা।
- ইলমের সাথে আমলের সমন্বয় সাধন। প্রত্যেক ছাত্রকে আলিমে বা-আমল হিসেবে গড়ে তোলা।
- ইসলাম বিরোধী সকল অপশক্তি, ছদ্মবেশী তাগুত বাতিলের শক্ত প্রতিরোধ।
- শিরক, বিদআতের মূলোৎপাটন। কুসংস্কারমুক্ত ইসলামী সমাজ গড়ে তোলা।
- বিশুদ্ধ আক্বিদার প্রসার। সবধরনের গোমরাহী থেকে সমাজকে রক্ষা করা।
- হিফজুল কুরআনসহ শিশুশ্রেণী থেকে তাকমীল ফিল হাদীস পর্যন্ত পাঠদান।
- সুদক্ষ শিক্ষকমণ্ডলীর তত্ত্বাবধানে কম সময়ে বিশুদ্ধ হিফজ শিক্ষা।
- প্রশিক্ষিত শিক্ষকমণ্ডলীর দ্বারা পরিচালিত প্রাণবন্ত কিন্ডার গার্ডেন বিভাগ।
- কিতাব বিভাগে ত্যাগী ও মেধাবী শিক্ষকদের পাঠদানে নিরলস প্রচেষ্টা।
- ক্লাসভিত্তিক আলাদা জিম্মাদারের মাধ্যমে নিয়মিত তামরীন।
- নৈতিক চরিত্র গঠনে প্রাতিষ্ঠানিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি তাবলীগের মেহনত করার সুযোগ।
- রুটিন মাফিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ।
- বাংলা ও আরবি সাহিত্য চর্চার অবারিত সুযোগ।
- হস্তলিপি প্রশিক্ষণ।
- শক্তিশালী ছাত্র সংসদ।
- সমৃদ্ধ পাঠাগার।
- আরবি বাংলা লেখালেখি, বক্তৃতা ও বিতর্কের নিয়মিত বাধ্যতামূলক ব্যবস্থাপনা।
- বাংলা আরবি নিয়মিত দেয়ালিকা প্রকাশনা।
- বার্ষিক সাময়িকী ‘আল হিলাল’, স্মারক ও বুলেটিন প্রকাশ।
- শিক্ষার্থীদের যুগসচেতন করতে বিভিন্ন সময় সেমিনার-সেম্পোজিয়ামের আয়োজন।
- শিক্ষার্থীদের সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ।
- ঝামেলামুক্ত পৃথক ছাত্রাবাস।
- ছাত্রাবাসে সর্বক্ষণ বিশেষ নেগরানী।
- সবমিলিয়ে শিক্ষাপোযোগী কাঙ্খিত শিক্ষাঙ্গন।
জামিয়ার অবদান
(১)যোগ্য, মুহাক্কিক, মুদাক্কিক, যুগসচেতন অসংখ্য আলেম সৃষ্টি।
(২) ছয়দশক ধরে ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা। সমাজের সর্বস্থরে একদল দক্ষ সমাজসংস্কারকের অনুপ্রবেশ ঘটানো।
(৩) শতশত শক্তিমান লেখক তৈরী।
(৪) বলিষ্টকন্ঠের অনলবর্ষী বক্তা তৈরী।
(৫) দারুল উলূম দেওবন্দের চিন্তা-চেতনার সফল চাষ। একদল জানবাজ কর্মীবাহিনী সৃষ্টি।
(৬) একসাথে তালীম, তাযকিয়া, তাবলীগ এবং তানফীযে দ্বীনের প্রচেষ্টা।
(৭) বরাবরই প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল বাতিলের সময়োপযোগী প্রতিরোধ।